লালমনিরহাট জেলা

বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত রংপুর বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা লালমনিরহাট। লালমনিরহাট জেলার উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণে রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলা, পূর্বে কুড়িগ্রাম জেলা এবং পশ্চিমে নীলফামারী জেলা পাঁচটি উপজেলা নিয়ে লালমনিরহাট জেলা গঠিত এগুলো হল লালমনিরহাট সদর, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ এবং আদিতমারী লালমনিরহাট জেলার আয়তন প্রায় ১২৪১ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১০০০ জন জেলায় স্বাক্ষরতার হাত ৬৫%

ইতিহাস ঐতিহ্য

দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত লালমনিরহাটের প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায় না তবে জেলাটির নামকরনের অনেকগুলো মতামত রয়েছে তার মধ্যে সমাভ্য দুটি মতামতকেই ঐতিহাসিকরা গ্রহন করেন এ অঞ্চলের মাটির নিচে এক সময় আশ্চার্য এক লাল পাথরের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল স্থানীয়রা যার নাম দিয়েছিল লালমনি সেই লালমনি নাম থেকেই লালল্মনিরহাট নামটির উদ্ভব আবার অনেকের মতে  বৃটিশ  আমলে  লালমনি  নামের এক মহিলা  বৃটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন তাঁর নামানুসারেই লালমনিরহাট জেলার নামকরন করা হয় বলে অনেকের ধারনা
লালমনিরহাট জেলর লোকজন ছিল বেশ প্রতিবাদী ও সংগ্রামী ভাষা আন্দোলন, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামে এ অঞ্চলের মানুষের অংশগ্রহন ছিল স্বতস্পুত

দর্শনীয় স্থান

বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান এবং প্রত্নতাত্বিক স্থাপনা রয়েছে লালমনিরহাট জেলায় লালমনিরাট জেলায় বাংলাদেশ প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত একটি স্থাপনার নাম হল নিদাড়িয়া মসজিদ লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নে অবস্থিত এ মসজিদটি প্রায় ৩০০ বছরের পুরানো জেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ি, তিনবিঘা করিডোর, তিস্তা ব্যরেজ, বুড়িমারি জিরো পয়েন্ট ইত্যাদি

যাতায়াত

লালমনিরহাট জেলার সাথে সড়ক ও রেলপথে ঢাকার  যোগাযোগ রয়েছে সপ্তাহে শুধু শুক্রবার বাদে অন্য সব দিন কমলাপুর রলওয়ে স্টেশন থেকে লালমনি এসপ্রেস লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এছাড়া ঢাকার গাবতলী, কল্যানপুর এবং মহাখালী টার্মিনাল থেকে লালমনিরহাটগামী এসি ও নন এসি বাস পাওয়া যায় জেলার একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াতের জন্য ভ্যান ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক রয়েছে