রাজশাহী জেলা

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি সমৃদ্ধ জেলা রাজশাহী এটি একটি বিভাগীয় শহর রাজশাহী জেলায় একটি সিটি কর্পোরেশন এবং নয়টি উপজেলা রয়েছে উপজেলাগুলো হল গোদাগাড়ী, তানোর, মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর, বাঘা, চারঘাট, পাবা এবং পুঠিয়া এখানে রয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী উচ্চশিক্ষাকেন্দ্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের অন্যতম প্রকৌশলী তৈরির কারখানা রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী সরকারী কলেজসহ অনেক অনেক নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদী এর সৌন্দর্যকে বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে রাজশাহীতে প্রচুর আম উৎপন্ন হয় যা ছড়িয়ে পরে সারাদেশে অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় রাজশাহীর আম সকলের কাছে প্রথম পছন্দের রাজশাহী জেলার আবহাওয়া একটু রুক্ষ এখানে গরমকালে প্রচন্ড গরম পরে আর শীতকালে শীতের তীব্রতাও অনেক বেশি হয় রাজশাহীর উত্তরে নওগাঁ জেলা, দক্ষিণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পদ্মা নদী এবং কুষ্টিয়া জেলা, পূর্বে নাটোর ও পশ্চিমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রাজশাহী জেলার আয়তন ২৪০৭ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৯৯০ জন

ইতিহাস ঐতিহ্য

বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী জেলা রাজশাহী বৃটিশন্দের আগমনের পূর্বেই বহু দেশের বনিকরা এ অঞ্চলে আসত ব্যবসা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে পদ্মার তীরে অবস্থিত হওয়ার উন্নত নদীপথের যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যপক উন্নতি হয়েছিল বৃটিশদের আগমনের পর তারা এ অঞ্চলের আবহাওয়ার সাথে সামাঞ্জস্য রেখে স্থাপনা তৈরি করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এ অঞ্চলের অনেক উন্নতি সাধিত হয় এবং দেশের প্রতিটি আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পাশাপাশি স্থানীয় সচেতন মানুষের অংশগ্রহন বাড়তে থাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এ অঞ্চলের মানুষের অবদান ছিল অসামান্য
প্রশাসনিক ইউনিট হিসাবে রাজশাহী বিভাগ সৃষ্টি হয় ১৮২৯ সালে এটি ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম একটি পুরানো প্রশাসনিক ইউনিট এক সময় আশেপাশের বেশ কয়েকটি জেলা রাজশাহীর মহকুমা ছিল

দর্শনীয় স্থান

রাজশাহীতে বেশ কিছু ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং এবং প্রচুর দর্শনীয় স্থান আছে দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম হল পদ্মার পার, রাজশাহী ভার্সিটি, রুয়েট, গোদাগাড়ি উপজেলায় অবস্থিত সাফিনা পার্ক, রাজশাহী ভার্সিটির সবুজ চত্বরে অবস্থিত শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা, বাঘা উপজেলায় অবস্থিত উৎসব পার্ক, পদ্মার তীর ঘেশগা রাজশাহী কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা, বরেন্দ্র গবেষনা যাদুঘর ঐতিহাসিক স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম হল বাঘা মসজিদ এবং পুঠিয়া রাজবাড়ী
রাজশাহীতে বেশ কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবারও রয়েছে এর মধ্যে কালিয়া রুটি, প্যারা নামক এক ধরনের মিষ্টি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরের লেবুচুড় অন্যতম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে গেলে পথের দুইপাশে সুবিশাল বৃক্ষরাজি পরিবেষ্ঠিত প্যারিস রোড দেখতে ভুল করবেন না এখানে আসলে মনে হবে আপনি বাংলাদেশে নয় বরং ইউরোপের কোন স্থানে আছেন

যোগাযোগ

রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক ও রেলপথে রাজশাহী জেলার যোগাযোগ রয়েছে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে প্রতিদিনই রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ট্রেন ছেড়ে যায় বাসে যেতে চাইলে ঢাকার সায়েদাবাদ্, গাবতলী কিংবা মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে রাজশাহীগামী এসি কিংবা নন এসি বাসে যেতে পারেন