হবিগঞ্জ জেলা

বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সিলেট বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা হবিগঞ্জ হবগঞ্জ জেলার আয়তন ২৬৩৬ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৬৯০ জন হবিগঞ্জের উত্তরে সুনামগঞ্জ এবং সিলেট জেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্বে মৌলভীবাজার এবং পশ্চিমে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা নয়টি উপজেলা নিয়ে হবিগঞ্জ জেলা গঠিত এগুলো হল- হবিগঞ্জ সদর, শায়েস্তাগঞ্জ, লাখাই, মাধবপুর, বাহুবল, বানিয়াচং, নবীগঞ্জ, চুনারুঘাট এবং আজমিরীগঞ্জ উপজেলা

ইতিহাস ঐতিহ্য

বহু প্রাচীনকাল থেকেই হবিগঞ্জ এলাকায় মানুষের বসবাস ছিল বলে প্রমাণ মেলে। এ অঞ্চলের বালু নদী থেকে প্রাপ্ত ধ্বংসাবশেষ এবং জীবাশ্ব থেকে এমন প্রমাণই পাওয়া যায়। মোগল আমলে বার ভুইয়াদের সাথে মোগল বাহিনীর কয়েকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল এ অঞ্চলে। স্বাধিনতা যুদ্ধের সময়ও এ অঞ্চলে বেশ কয়েকটি কমান্ডো আক্রমন পরিচালিত হয়েছিল যা পাকিস্তানি বাহিনীকে দুর্বল করতে সাহায্য করে। এ অঞ্চলের জঙ্গলবেষ্টিত ভূপ্রকৃতি এসব যুদ্ধের সফলতার অন্যতম কারন।

১৮৭৪ সালে হবিগঞ্জকে সিলেট জেলার মহকুমা করা হয় এবং ১৯৮৪ সালে একে জেলায় রুপান্তরিত করা হয়। হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দাদের একটি বিরাট অংশই কৃষির সাথে জড়িত। এছাড়া এখানে বেশ কিছু শিল্প কারখানাও রয়েছে। এ জেলায় তিনটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে

দর্শনীয় স্থান

হবিগঞ্জ জেলায় রয়েছে প্রচুর হাওর আর অনেক চা বাগান। জেলাটি প্রথম শ্রেণীর কোন পর্যটন জেলা না হলেও এখানে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হল সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় প্রায় ২৪৩ হেক্টর জমির উপর এ উদ্যানটি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে চুনারুঘাট উপজেলার গ্রীনল্যান্ড পার্ক, জেলা সদরের রাজিউড়া ইউনিয়নে অবস্থিত শংকরপাশা শাহী মসজিদ এবং বাহুবল উপজেলায় অবস্থিত ফাইভ স্টার মানের দা প্যানেল লাক্সারি রিসোর্ট। শারিরীক কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা থাকলে সাতছড়ি জাতীয় উ্যানের গহীনে ট্রাকিং করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে তাদের নিয়ম মেনে গাইড নিতে হবে।

যাতায়াত

ঢাকা থেকে সিলেটগামী ট্রেনে হবিগঞ্জ যাওয়া যায় এছারা ঢাকার সায়েদাবাদ, কল্যানপুর, গাবতলী কিংবা মহাখালী কাউন্টার থেকে সিলেটগামী বাসেও যাওয়া যায় সরাসরি হবিগঞ্জ যাওয়ার বাসও এসব জায়গায় আছে অভ্যন্তরীন যোগাযোগের জন্য লোকাল বাস, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা কিংবা হিউম্যান হলার ব্যবহার করা যেতে পারে