Recents in Beach

header ads

Netrokona District। নেত্রকনা জেলা বাংলাদেশ।


নেত্রকোনা জেলা

বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ময়মনসিংহ বিভাগের একটি জেলা নেত্রকোনা। চীনা মাটির পাহাড়, নদী, খাল আর বিলে পরিপূর্ন এ জেলাটির সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে পাহাড়ি জলপ্রপাতগুলো। নেত্রকোনা জেলায় আয়তন ২৮১০ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৭৯০ জন। নেত্রকোনার উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে কিশোরগঞ্জ জেলা, পূর্বে পানির রাজ্য সুনামগঞ্জ জেলা এবং পশ্চিমে বৃহতর ময়মনসিংহ। দশটি উপজেলা নিয়ে গঠিত বৃহদাক্ক্রিতির এ জেলাটি। এগুলো হল নেত্রকোনা সদর, আটপাড়া, কলমাকান্দা, কেন্দুয়া, খালিয়াজুড়ি, দুর্গাপুর, পূর্বধলা, বারহাট্টা, মদন এবং মোহনগঞ্জ উপজেলা। নেত্রকোনা বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন জেলা। প্রচুর পর্যটকের আনাগোনা থাকে জেলাটিতে।

ইতিহাস ঐতিহ্য

প্রাচীনকালে এ অঞ্চল গুপ্ত সম্রাজ্যের অধীনে ছিল। সপ্তম শতাব্দীতে হিন্দুরাজ শশাঙ্কের অধীনে ছিল এ অঞ্চল। ঐ সময় রাজা শশাঙ্কের আমন্ত্রনে চৈনিক পর্যটক হিউয়েন সাঙ এ অঞ্চলে আসেন। তাঁর লিখিত ভ্রমকাহিনী থেকে এ অঞ্চলের বিস্তারিত কিছু বর্ননা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ১৩ শতাব্দীর দিকে একজন মুসলিম সেনাপতির আক্রমনে এ অঞ্চল মুসলিম শাসকদের হাতে আসে এবং খুব দ্রুত ইসলামের প্রপ্সার ঘটতে থাকে। বৃটিশ আমলে ১৮৮০ সালে নেত্রকোনাকে একটি মহকুমা হিসাবে ঘোষনা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে নেত্রকোনাকে একটি জেলাইয় উন্নীত করা হয়।

দর্শনীয় স্থান

নেক্রকোনা জেলার দর্শনীয় স্থান খুব বেশি না। কিন্তু যে সামান্য কয়েকটি স্থান রয়েছে তা সত্যিই ইউনিক। কারন দেশের অন্য কোথাও এরকম মনকাড়া স্থান দেখতে পাওয়া যায় না। জেলার দর্শনীয় স্থানের তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে রয়েছে বিরিশিরি। দুর্গাপুর উপজেলায় অবস্থিত বিরিশিরি সত্যিই অসাধারন। নীল পানির হ্রদ আর চিনামাটির পাহাড় যেন এর সৌন্দর্যকে এক জান্নাতি রূপ দিয়েছে।
দর্শনীয় স্থানের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কমলা রানী দিঘি। এটিও দুর্গাপুরেই অবস্থিত এবং বিরিশিরির একদম কাছাকাছি।  এছাড়াও সাত শহীদের মাজার, সোমেশ্বরী নদী, ডিঙ্গাপোতা হাওর অন্যতম।

যাতায়াত

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিদিন দুটি ট্রেন নেত্রকোনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এছাড়াও সড়কপথে যেতে চাইলে ঢাকার মখাখালী বাস টার্মিনাল থেকেই সারাদিনই বেশকিছু পরিবহনের বাস নেত্রকোনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। নেত্রকোনায় থাকার জন্য বেশ কিছু মানসম্মত হোটেল রয়েছে।

Post a Comment

0 Comments