লক্ষীপুর জেলা

বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা লক্ষীপুর লক্ষীপুর জেলার আয়তন ১৩৬৭ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৩০০ জন ঢাকা থেকে লক্ষীপুর জেলার দূরত্ব ১৪৫ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম জেলা শহর থেকে দূরত্ব ১৫৭ কিলোমিটার লক্ষীপুর জেলার উত্তরে চাঁদপুর জেলা, পূর্বদক্ষিণে নোয়াখালী, পশ্চিমে মেঘনা নদী তার ওপারে ভোলা বরিশাল লক্ষীপুর জেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে রহমতখানি নদী। পাঁচটি উপজেলা নিয়ে লক্ষীপুর জেলা গঠিত। এগুলো হল- লক্ষীপুর সদর, কমলানগর, রামগঞ্জ, রামগতি এবং রায়পুর।

ইতিহাস ঐতিহ্য

বিভিন্ন এলাকার নামকরন থেকেই মোটামোটিভাবে ধারনা করা হয় অঞ্চলের জনবসতি বেশ পুরানো। বাংলায় মুসলিম শাসনের গোড়াপত্তনের আগে থেকেই অঞ্চলে হিন্দু ধর্মালম্বীদের বসবাস ছিল বলে ধারনা করা হয়। বৃটিশ আমলে ১৮৬০ সালে সর্বপ্রথম লক্ষীপুর থানা গঠিত হয়। লক্ষীপুর থানা সময় বর্তমান নোয়াখালীর অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৬৯ সালে লক্ষীপুর মহকুমা গঠিত হয়। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রশাসনিক পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় যার ফলে দেশের সবগুলো মহকুমাকে জেলায় পরিণত করা হয়। লক্ষীপুরকেও সময়ই জেলায় উন্নীত করা হয়।

লক্ষীপুর জেলার নামকরন নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে ব্যপক মতবিরোধ রয়েছে। তবে হিন্দুদের সম্পদের দেবী লক্ষীর নামানুসারেই লক্ষীপুরের নামকরন করা হয়েছে বলে ধারনা করা হয়।

দর্শনীয় স্থান

লক্ষীপুর জেলায় বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হল লক্ষীপুর সদরের দালাল বাজারে অবস্থিত ৩০০ বছরের পুরানো খোয়াসাগর দিঘী, রায়পুর উপজেলার দেনায়েতপুর  নামক স্থানে অবস্থিত ঐতিহাসিক স্থাপনা জ্বীনের মসজিদ, দালাল বাজার জমিদার বাড়ি এবং রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার। তবে লক্ষীপুরে আগত পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে বেশি আকর্ষনীয় স্থান হল মতিরহাট সৈকত। কমলানগর উপজেলায় মেঘনা নদীর তীরের স্থানটি মতিরহাট সৈকত নামে পরিচিত।  এখানে নির্মিত শহর রক্ষা বাধ এর সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

যাতায়াত

রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বেশ কিছু এসি এবং নন এসি বাস প্রতিদিন লক্ষীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে লক্ষীপুর যেতে - ঘন্টা সময় লাগে।