Recents in Beach

header ads

Jhalokati District /ঝালকাঠি জেলা


ঝালকাঠি জেলা

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা ঝালকাঠি। অন্যান্য উপকূলীয় জেলার মত এ জেলায়ও মাঝে মাঝেই আঘাত হানে প্রলয়নকারী ঘুর্নিঝড় কিংবা সাইক্লোন। লন্ডভন্ড হয় গ্রামের পর গ্রাম। ঝালকাঠি ছোট্ট একটি জেলা। এ জেলাটির আয়তন ৭৩৫ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রায় ৯৩০ জন। ঝালকাঠির উত্তর-পূর্বে বরিশাল জেলা, দক্ষিণে বরগুনা এবং বিষখালী নদী, পশ্চিমে লোহাগড়া এবং পিরোজপুর জেলা। চারটি উপজেলা নিয়ে ঝালকাঠি জেলা গঠিত। এগুলো হল ঝালকাঠি সদর, রাজপুর, নালসিটি এবং কাঠালিয়া উপজেলা। অনেক গুলো ছোট বড় নদী বয়ে গেছে ঝালকাঠি জেলার উপর দিয়ে। এদের মধ্যে অপ্ন্যতম হল কীর্তনখোলা, বিষখালী, সুগন্ধা, ধানসিঁড়ি প্রভৃতি। এছাড়াও রয়েছে বেশকিছু খাল ও বিল।

ইতিহাস ঐতিহ্য

এক্সময় ঝালকাঠি তৎকালীন বাকেরগঞ্জ (বর্তমান বরিশাল) জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ঝালকাঠি পৌরসভার গোড়াপত্তন হয় ১৮৭৫ সালে। এ অঞ্চলের মুসলিমরা বহূ পূর্ব থেকেই ছিল অনেক বেশি ধর্মপরায়ন। ১৮৮২ সালের কাছাকাছি সময় বৃটিশ সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে এ অঞ্চলের ১৭ জন মুসলিম নিহত হয়। ঐ সময় বৃটিশরা দাঙ্গা নিরসনের জন্য এ অঞ্চলে থানা স্থাপন করে। ১৯৭২ সালে ঝালকাঠি থানাকে বরিশাল জেলার মহকুমায় উন্নীত করা হয় এবং ১৯৮৪ সালে ঝালকাঠি জেলা গঠন করা হয়।

দর্শনীয় স্থান

ঝালকাঠি জেলায় বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল রাজপুর উপজেলায় অবস্থিত সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি, বাংলার সুয়েজ খাল খ্যাত পাবখান চ্যানেলের উপর নির্মিত পাবপখান সেতু, জেলা সদরে অবস্থিত সুজাবাদ কেল্লা, রাজপুর উপজেলায় অবস্থিত কীর্তিমালা জমিদার বাড়ি এবং বরিশাল ঝালকাঠি সীমান্তের ভাসমান পেয়ারা বাজার।

যাতায়াত

ঢাকা থেকে ঝালকাঠিগামী বেশ কিছু বাস রয়েছে। এর মধ্যে সাকুরা, সোনারতরী, সুরভী অন্যতম। বেশিরভাগ বাসই গাবতলী থেকে ছেড়ে যায়। তাছাড়া সদরঘাট থেকে সরাসরি স্টিমারেও ঝালকাঠি যাওয়া যায়।

Post a Comment

0 Comments