Recents in Beach

header ads

Brahmanbaria District. ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া এ জেলার আয়তন ১৯২৭ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী প্রতি বর্গ কিলোমিয়টারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৫০০ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দক্ষিণে কুমিল্লা জেলা, পশ্চিমে নারায়নগঞ্জ এবং নরসিংদী জেলা, উত্তরে কিশোরগঞ্জ জেলা ও হবিগঞ্জ জেলা এবং পূর্বে হবিগঞ্জ জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য নয়টি উপজেলা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গঠিত। এগুলো হল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, আখাউড়া, আশুগঞ্জ, কসবা, নবীনগর, নাসিরনগর, বাঞ্ছারামপুর, বিজয়নগর এবং সরাইল।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন
ইতিহাস ঐতিহ্য

বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রাচীন নগরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া। বহু প্রাচীনকাল থেকেই এ এলাকায় মানুষের বসতি ছিল বলে ধারনা করা হয়। মোগল আমলে এ অঞ্চলগুলো বার ভুইয়াদের শাসনাধীনে ছিল। বার ভুইয়াদের নেতা ইসা খা প্রথম বাংলার অস্থায়ী রাজধানী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে স্থাপন করেছিলেন। বৃটিশ আমলে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে বর্তমান কুমিল্লা জেলার আওতায় আনা হয়। তবে তৎকালীন সময় এ অঞ্চলের নাম ছিল ত্রিপুরা। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে ত্রিপুরার নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক পুনর্গঠনের মাধোমে বাংলাদেশের সব মহকুমাকে জেলায় পরিণত করা হয় এবং সৃষ্টি হয় আজকের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।

দর্শনীয় স্থান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হল জেলা শহরের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত আবি রিভার পার্ক, নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর জমিদার বাড়ি, আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামে অবস্থিত ঘাশুটিয়ার পদ্মবিল, সরাইল উপজেলায় অবস্থিত ধরস্তি হাওর এবং কসবার বিখ্যাত বর্ডার হাট। ধরস্তি হাওর অনেক বেশি নয়নাভিরাম। দুই পাশে হাওর আর মাঝখান দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তার সৌন্দর্য আসলেই অসাধারন।

যাতায়াত

ঢাকা থেকে সড়ক ও রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়া যায়। ঢাকার সায়েদাবাদ এবং মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী বাস পাওয়া যায়। ট্রেনে যেতে চাইলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রেনে যাওয়া যায়। অভ্যন্তরীন যোগাযোগের জন্য রিক্সা এবং ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক রয়েছে

Post a Comment

0 Comments